ব্যাকরণ
প্রিয় পরীক্ষার্থী, আজ বাংলা ২য় পত্রের ৩ নম্বর প্রশ্নোত্তর আলোচনা করা হলো।
প্রশ্ন: বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা করো।
উত্তর: যে পদ
দ্বারা কোনো ব্যক্তি, বস্তু, জাতি, কাজ বা গুণের নাম বোঝায়, তাকে বিশেষ্য
পদ বলে। যেমন: বই, নদী, পাখি, ফুল, ঢাকা, ইত্যাদি। বিশেষ্য পদের কয়েকটি
শ্রেণীবিভাগ আছে। যেমন:
১। সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য: যেসব বিশেষ্য পদে কোনো
নির্দিষ্ট স্থান, নদী, পর্বত, সমুদ্র, প্রসিদ্ধ গ্রন্থ বা ব্যক্তির নাম
বোঝায়, তাকে সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য বলা হয়। যেমন: আকবর, রানা, লন্ডন, তাজমহল
ইত্যাদি।
২। স্থানবাচক বিশেষ্য: যেসব বিশেষ্য পদে কোনো নির্দিষ্ট
স্থানের নাম বোঝায়, তাকে স্থানবাচক বিশেষ্য বলা হয়। যেমন: রাজশাহী, ময়নামতি
ইত্যাদি।
৩। বস্তুবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদের সাহায্যে কোনো বস্তু
বোঝায় এবং যার সংখ্যা নির্দেশ করা যায় না, শুধু পরিমাণ নির্দেশ করা যায়,
তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: পানি, লবণ ইত্যাদি।
৪। জাতিবাচক
বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদের সাহায্যে কোনো প্রাণী বা বস্তুর জাতি বোঝায়, তাকে
জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: মানুষ, মুসলমান, হিন্দু ইত্যাদি।
৫।
গুণবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদে কোনো গুণ, অবস্থা ও ভাবের নাম বোঝায়, তাকে
গুণবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: সুখ, দুঃখ, দয়া, বীরত্ব ইত্যাদি।
৬। ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদে কোনো কাজের নাম বোঝায়, তাকে ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: ঘুমান, গমন, যাওয়া ইত্যাদি।
৭। সমষ্টিবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদে সমষ্টি বোঝায়, তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: জনতা, সমিতি, সভা, দল ইত্যাদি।
সুত্রঃ প্র্থম আলো